ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাতে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
বুধবার সকালে ভোলা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ও তার স্বজনরা জানান, ভোলার চর ডোস গ্রামের অটো চালকের মেয়ের সাথে পার্শ্ববর্তী তজুমদ্দিন উপজেলার উত্তর খাসের হাট গ্রামের রবু আলমের ছেলে সৌদিপ্রবাসী মো. জাকিরের সাথে এক মাস আগে একটি বিয়ে বাড়িতে দেখা হয়। সেখানে জাকির মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক হয়। মঙ্গলবার রাতে জাকির ওই ছাত্রীর বাড়িতে বাবা মা না থাকার সুযোগে ঘরের দরজা খুলতে বলে। এ সময় মেয়েটি দরজা খুললে তাকে মুখ চেপে ঘরের পিছনে নিয়ে ধর্ষণ করে জাকির। এর পরে মেয়েটিকে ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে জাকির পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা এসে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজ উদ্দিন জানান, ওই কিশোরীকে সেক্সুয়াল এসল্ট হিসাবে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মাজাহারুল আমিন জানান, তারা ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে কথা বলেছেন। তাদের মামলা দেয়ার জন্য বলেছেন।
আরও পড়ুন: আখ খেতে নিয়ে শিশু ধর্ষণ, বাগেরহাটে ২ কিশোর গ্রেপ্তার